Tuesday, December 3, 2013

0 জনশ্রেষ্ঠ শাস্ত্রা কৌণ্ডিণ্য বুদ্ধ

জ্যোতিঃশালী দীপঙ্কর বুদ্ধের পর শীল-গুণ পূণ্য-তেজে অনন্ত তেজসম্পন্ন অপ্রমেয় গুণবান ও অপরাজেয় কৌণ্ডিণ্য বুদ্ধের আবির্ভাব হয়েছিল। তিনি ক্ষান্তি গুণে দুইলক্ষ চল্লিশ হাজার যোজন গভীর পৃথিবীর ন্যায়, শীলগুণে সাগর সদৃশ, সমাধি গুণে সুমেরু পর্বত সদৃশ আর জ্ঞানে অনন্ত আকাশের ন্যায় ছিলেন। তিনি সর্বদা প্রাণীগণের হিতরে জন্য, পঞ্চেন্দ্রিয়, সপ্ত বোধ্যঙ্গ, অষ্টমার্গসত্যাদি প্রকাশক সদ্ধর্ম প্রচার করেছিলেন।

কৌণ্ডিণ্য বুদ্ধ রম্যবতী নগরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম সুনন্দ ক্ষত্রিয়, মাতার নাম সুজাতা দেবী; রুচী দেবী নামে প্রধানা মহিষী এবং বিজিতিসেন নামক পুত্র ছিল। তিনি চারি প্রকার পূর্বনিমিত্ত দর্শন করে রথারোহণে গৃহ ত্যাগ করেছিলেন এবং অন্যূন দশমাস ব্যাপী দৃঢ় প্রচেষ্টায় বুদ্ধত্ব লাভ করেছিলেন। ভদ্র ও সুভদ্র নামে দু'জন অগ্রশ্রাবক, অনুরুদ্ধ সেবক এবং তিষ্যা ও উপতিষ্যা ছিলেন অগ্রশ্রাবিকা। শাল কল্যাণী বৃক্ষ বোধিদ্রুম। তাঁর উচ্চতা ৮৮ হাত ও পরমায়ু লক্ষ বৎসর ছিল। তিনি প্রথম ধর্ম সভায় কোটিশত হাজার, দ্বিতীয় ধর্ম সভায় সহস্রকোটি ও তৃতীয় ধর্ম সভায় নব্বইকোটি নর-দেব-ব্রহ্মাকে ধর্মামৃত পান করিয়েছিলেন। শাস্ত্রাপ্রবর কৌণ্ডিণ্য বুদ্ধ চন্দারামে পরিনির্বাণ প্রাপ্ত হয়েছিলেন। সেখানে সাত যোজন উচ্চ বিচিত্র চৈত্য নির্মিত হয়েছিল। উল্লেখ্য যে, কৌণ্ডিণ্য বুদ্ধের শারীরিক অস্থি ধাতুসমূহ বিকীর্ণ হয় নি। সুবর্ণ প্রতিমার ন্যায় জমাট হয়ে বিদ্যমান ছিল। তখন গৌতম বুদ্ধ বোধিসত্ত্বাবস্থায় বিজেতাবী নামক চক্রবর্তী রাজা ছিলেন।

"বন্দে কোণ্ডঞ্ঞো সত্থারং সিরসা নিচ্চং, বুদ্ধ কোণ্ডঞ্ঞো সরণং গচ্ছামি" শাস্ত্রা কৌণ্ডিণ্য বুদ্ধকে নতশিরে বন্দনা করছি, আমি কৌণ্ডণ্য বুদ্ধের শরণ গ্রহণ করছি। এ বন্দনা-শরণের প্রভাবে আমার আপনার সকলের সর্বপ্রকার জয়মঙ্গল হোক।

0 comments:

Post a Comment