Tuesday, December 3, 2013

0 ‘অষ্টাঙ্গিক মার্গ’

(ক) সম্যক জ্ঞান বা প্রজ্ঞা (knowledge) :
(১) প্রথম অঙ্গ : সম্যক দৃষ্টি (Right Views) : আর্যসত্য সম্মন্ধে অর্থাৎ দুঃখ, দুঃখের হেতু এবং তার নিরোধ মার্গের যথার্থ জ্ঞান ও উপলব্ধিকে সম্যক দৃষ্টি বলা হয়েছে। অবিদ্যা যেমন ভবচক্রের মূল কারণ, সম্যক দৃষ্টিও তেমনি মুক্তিলাভের প্রধান কারণ।
বুদ্ধ দুঃখের মূল কারণকে অবিদ্যা বলেছেন। অবিদ্যার দরুন মিথ্যাদৃষ্টি (wrong views) উদ্ভূত হয়। মিথ্যাদৃষ্টির প্রাবল্যের কারণে অবাস্তবিক বস্তুকে বাস্তবিক ভাবা হয়। যেমন যা আত্মা নয় তাকে আত্মা ভাবা। মিথ্যাদৃষ্টির প্রভাবে মানুষ নশ্বর বিশ্বকে অবিনাশী এবং দুঃখময় অনুভূতিকে সুখময় ভাবে। মিথ্যাদৃষ্টির নাশ সম্যগ্দৃষ্টিতে সম্ভব। সেকারণে বুদ্ধ সম্যক দৃষ্টিকে অষ্টাঙ্গিক মার্গের প্রথম সোপান বলেছেন। সম্যক দৃষ্টি হচ্ছে বস্তুর যথার্থ স্বরূপকে জানা। সম্যক দৃষ্টি হচ্ছে চারটি আর্যসত্যের যথার্থ জ্ঞান, যা মানুষকে নির্বাণের দিকে নিয়ে যায়। আত্মা ও বিশ্ব সম্মন্ধীয় দার্শনিক বিচার মানবকে নির্বাণপ্রাপ্তিতে বাধা দেয়। অতএব দার্শনিক বিচারের চিন্তা না করে নির্বাণহেতু চারটি আর্যসত্যের মনন হচ্ছে অত্যন্ত আবশ্যক।
.
(২) দ্বিতীয় অঙ্গ : সম্যক সংকল্প (Right Resolve) : মুক্তিলাভের জন্য দৃঢ় সংকল্প থাকা প্রয়োজন। সম্যক দৃষ্টি সর্বপ্রথম সংকল্পে রূপান্তরিত হয়। বুদ্ধের চারটি আর্যসত্যের নিজ জীবনে পালন করার দৃঢ় নিশ্চয়কে সম্যক সংকল্প বলে। আর্যসত্যের জ্ঞানে মানুষ নিজেকে সার্থক করতে পারে যদি সে অনুসারে জীবনযাপন করে। তাই নির্বাণের আদর্শকে ধারণ করতে সাধককে ঐন্দ্রিয় বিষয় থেকে দূরে থাকতে হয়, অন্যের প্রতি দ্বেষ ও হিংসার বিচারকে ত্যাগ করতে দৃঢ় সংকল্প হতে হয়। মোট কথা যা অশুভ তা না করার সংকল্প হচ্ছে সম্যক সংকল্প। এতে ত্যাগ ও পরোপকারের ভাবনা নিহিত থাকে। এই বৃত্তিগুলোর অনুশীলন করতে করতে ভোগতৃষ্ণা দূর হয় এবং মুক্তিলাভের সংকল্প দৃঢ় হয়।
.
(খ) সম্যক আচার বা শীল (conduct) :
(৩) তৃতীয় অঙ্গ : সম্যক বচন (Right Speech) : এর আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে সত্য বলা, মিথ্যা পরিত্যাগ এবং বাকসংযম। বৌদ্ধদর্শনে এর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। সম্যক সংকল্পের বাহ্য রূপ হচ্ছে সম্যক বাক বা সম্যক বচন। কেননা দ্বেষ, হিংসা প্রভৃতি কু-প্রবৃত্তি থেকেই মিথ্যাভাষণ ও কপটতার সৃষ্টি হয়। নির্বাণলাভ করতে হলে মিথ্যা ও কটুভাষণ বর্জন করতে হবে। সত্য, হিতকর ও প্রীতিপ্রদ কথা বলতে হবে। কেবল সত্যভাষণই দুঃখ, দুঃখহেতু, দুঃখনিরোধ এবং দুঃখনিরোধের মার্গ সম্যক বচনের জন্য পর্যাপ্ত নয়। যে বাক্যে অন্যের কষ্ট হয় সেরূপ পৌরুষ বা কটু বাক্যের পরিত্যাগও বাঞ্ছনীয়।
.
(৪) চতুর্থ অঙ্গ : সম্যক কর্মান্ত (Right Actions) : পূর্বজন্মের কৃতকর্মের ফল বা সংস্কার এ জন্মে ভোগ করতেই হবে, এর ব্যতিক্রম কখনোই সম্ভব নয়। এ জন্মেও যদি তৃষ্ণা বা আসক্তিবাহিত ফলভোগের আকাঙ্ক্ষা থাকে তবে পরের জন্মে আবার দুঃখ ভোগ করতে হবে। এজন্যে দুঃখের সংসারে পুনর্বার জন্ম না-নিতে হলে লোভ, মোহ, বাসনা প্রভৃতি পরিত্যাগ করে কর্মান্ত পালন করতে হবে। সম্যক কর্মান্তের অর্থ খারাপ কর্মের পরিহার। হিংসা, দ্রোহ ও দুরাচার হতে রহিত কর্ম হচ্ছে সম্যক কর্ম।
বুদ্ধের মতে ত্রিতয় বা খারাপ কর্ম তিন প্রকার- হিংসা, স্তেয় (অন্যের সম্পদ অপহরণ) ও ইন্দ্রিয়ভোগ। তাঁর মতে এগুলো হচ্ছে সম্যক কর্মের প্রতিকূল। অতএব অহিংসা (প্রাণীহিংসা না করা), অস্তেয় (অন্যের সম্পদ অপহরণ না-করা) এবং ইন্দ্রিয়সংযম (ইন্দ্রিয়সুখ পরিত্যাগ) হলো সম্যক কর্মান্তের তাৎপর্য।
.
বুদ্ধ গৃহস্থ উপাসক, ভিক্ষু প্রভৃতির জন্য ভিন্ন ভিন্ন কর্মের আদেশ দিয়েছেন। নির্বাণ প্রাপ্তি অত্যন্ত দুষ্কর। গৃহস্থের জন্য তা সম্ভব নয়। উপাসকের জন্য ত্রিশরণ গমনের বিধি রয়েছে। যে গৃহস্থ উপাসক হতে চায় তাকে বুদ্ধ, ধর্ম ও সঙ্ঘের শরণ নিতে হয়। বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি, ধর্মং শরণং গচ্ছামি, সঙ্ঘং শরণং গচ্ছামি- এরা ত্রিরত্ন নামে প্রসিদ্ধ। বুদ্ধের শরণে বা আশ্রয়ে যাওয়ার অর্থ বুদ্ধকারক ধর্মের শরণে যাওয়া।
উপাসক যারা স্বর্গোপপত্তি চায় তাদের জন্য বুদ্ধ পাঁচটি বিরতি এবং ভিক্ষুদের জন্য দশটি বিরতির নির্দেশ করেছেন। এগুলোকে পঞ্চশীল ও দশশীল বলা হয়। এই শীলগুলো হচ্ছে যথাক্রমে- (১) প্রাণাতিপাতের বিরতি, (২) অদত্তাদানের বিরতি, (৩) অব্রহ্মচর্য বা কর্মে মিথ্যাচারের বিরতি, (৪) মৃষাবদের বিরতি, (৫) সুরা মৈরেয় (মৈথুন) প্রমাদ স্থানের বিরতি, (৬) অকালভোজন বিরতি, (৭) নৃত্যগীতবাদিত্র বিরতি, (৮) মাল্যগন্ধবিলেপন বিরতি, (৯) উচ্চাসনশয়ন বিরতি ও (১০) জাতরূপ রজত প্রতিগ্রহ থেকে বিরতি । প্রথম পাঁচটি পঞ্চশীল এবং সবগুলো মিলে দশশীল।
.
উপাসকের কাজ হচ্ছে ধর্ম শোনা, উপবাস ব্রত পালন করা, ভিক্ষুকে দান দেয়া। উপাসককে ভদ্রকশীল ও ভদ্রকদৃষ্টিতে সমন্বাগত হতে হয়। তাকে মানসিক, কায়িক ও বাচিক কুচরিত হতে দূরে থাকতে হয়। সুচরিত পালন করতে হয়। এভাবে সে অপায়গতি হতে রেহাই পায় এবং স্বর্গে উৎপন্ন হয়।
.
(৫) পঞ্চম অঙ্গ : সম্যক আজীব (Right Living) : সম্যক আজীবের অর্থ ন্যায়পূর্ণ জীবিকা উপার্জন। পঞ্চশীলকে অনুসরণ করে ভোগবাসনা শূন্য হয়ে সৎপথে সৎকর্মের মাধ্যমে জীবিকা অর্জনকে বলা হয়েছে সম্যক আজীব। গৃহী এবং সন্ন্যাসীভেদে সম্যক আজীব ভিন্ন। গৃহী ব্যক্তি তার সামর্থ ও স্বভাব অনুযায়ী জীবন যাপন করতে পারে। কিন্তু একমাত্র সন্ন্যাস গ্রহণের পরই নির্বাণ প্রাপ্তি হয়। পরের প্রতি দ্রোহবর্জিত জীবিকাই হচ্ছে সম্যক আজীব। তৎকালীন শাসক-শোষক সমাজোনুমোদিত সকল প্রকার জীবিকার মধ্যে প্রাণী-হিংসা-যুক্ত কয়েকটি জীবিকাকে বুদ্ধ মিথ্যা জীবিকা বলে উল্লেখ করেছেন- অস্ত্র ব্যবসা, প্রাণী ব্যবসা, মাংস বিক্রয়, মদ্য ও বিষের বাণিজ্য।
অনেকে মনে করেন, সম্যক আজীবে সম্যক কর্মান্তের পুনরাবৃত্তি হয়েছে। কিন্তু বুদ্ধ সম্যক আজীবকে পৃথক সোপান বলেছেন এজন্যে যে, মানুষ সম্যক কর্মান্তের পালন করেও কখনো কখনো জীবন নির্বাহের জন্য অনুচিত পথ আশ্রয় করে। অতএব সম্যক কর্মান্ত যাতে সার্থক হয় সেকারণে সম্যক আজীব পালন অপরিহার্য।
.
(গ) সম্যক যোগ বা সমাধি (tranquility) :
(৬) ষষ্ঠ অঙ্গ : সম্যক ব্যায়াম (Right Efforts) : উপরিউক্ত পাঁচটি মার্গ পালন করলেও সাধক নির্বাণ লাভে সমর্থ হয় না। কেননা মানুষের মনে পুরাতন খারাপ বিচার ঘর বেধে আছে এবং নতুন খারাপ বিচার নিরন্তর মনে প্রবাহিত হতে থাকে। সেকারণে পুরাতন খারাপ বিচারকে মন থেকে নিরসন করা এবং নতুন খারাপ বিচারকে মনে আসা রোধ করা প্রয়োজন। মন কখনো শান্ত হয় না, তাই মনকে ভালো ভাবে পরিপূর্ণ রাখতে হয় এবং ভালো ভাব মনে বলবৎ রাখার জন্য যত্নশীল হতে হয়। সম্যক ব্যায়ামের অর্থ হচ্ছে ভালো উৎপন্ন করার জন্য সতত উদ্যোগ। এই ব্যায়াম চার প্রকার- (১) পুরাতন খারাপ বিচারকে বের করে দূর করা অর্থাৎ কু-চিন্তার বিনাশ সাধন করা, (২) নতুন খারাপ বিচারকে মনে প্রবেশ করতে না-দেয়া অর্থাৎ কু-চিন্তার উৎপত্তি দূর করা, (৩) মনকে সুচিন্তায় নিরত করা অর্থাৎ ভালো ভাব মনে পূর্ণ করা এবং (৪) এই ভাবকে মনে কার্যকর রাখতে সর্বদা ক্রিয়াশীল হওয়া অর্থাৎ সুচিন্তা উৎপাদনের জন্য সচেষ্ট হওয়া।
অর্থাৎ এই চতুর্বিধ প্রযত্নের মাধ্যমে বিহিত কর্মের অনুষ্ঠানে এবং প্রতিষিদ্ধ কর্মের বর্জনে যে দৃঢ় অধ্যবসায় তা-ই হচ্ছে সম্যক ব্যবসায় বা ব্যায়াম।
.
(৭) সপ্তম অঙ্গ : সম্যক স্মৃতি (Right Thought) : সম্যক স্মৃতির অর্থ লোভ আকাঙ্ক্ষা প্রভৃতি চিত্তসন্তাপ থেকে পৃথক থাকা। যে স্মৃতিতে মনে অকুশলের চিন্তা উদিত হয় না এবং সর্বদা কুশলকর বুদ্ধি জাগ্রত থাকে তা-ই সম্যক স্মৃতি।
সম্যক স্মৃতি পালন করা খুবই সূক্ষ্মবোধের বিষয়। এ যাবৎ যে সকল বিষয়ের জ্ঞান হয়েছে তাদের সর্বদা স্মরণ রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। সম্যক স্মৃতি হচ্ছে বস্তুর বাস্তবিক স্বরূপ সম্বন্ধে অবহিত থাকা। নির্বাণেচ্ছু সাধককে সদাসর্বদা মনে রাখতে হয়, ‘আমি দেহ নই, আমি মন নই, আমি সংবেদন নই, আমি কোন মানসিক অবস্থাও নই।’ শরীর, মন, সংবেদন সব কিছুই অনিত্য ও দুঃখকর। মানুষ অজ্ঞানের বশে শরীর, মন, সংবেদন ইত্যাদিকে স্থায়ী এবং সুখজনক বলে মনে করে। আর সে কারণেই বিষয়ে আসক্ত হলে বস্তুগুলির নাশে দুঃখ অনুভব হয়। তাই তাদের বাস্তবিক স্বরূপ স্মরণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। শরীরকে ক্ষণভঙ্গুর বলে উল্লেখ করে বুদ্ধ বলেছেন, শ্মশানে গিয়ে শরীরের নশ্বরতাকে দেখা যায়। এই অনিত্যতায় বিশ্বাস দৃঢ় হলে আসক্তি থাকবে না। ফলে নির্বাণ লাভের পথ সহজতর হয়। সম্যক স্মৃতির পালন নির্বাণেচ্ছু ব্যক্তিকে সমাধির যোগ্য বানায়।
.
(৮) অষ্টম অঙ্গ : সম্যক সমাধি (Right Tranquility) বা ধ্যান (Concentration) : রাগদ্বেষ বর্জিত চিত্তের প্রচণ্ড একাগ্রতা, যার দ্বারা মানসিক চাঞ্চল্য সম্পূর্ণ দূরীভূত হয় তাকেই সম্যক সমাধি বলে। সমাধিতে সাধক নির্বাণ লাভ করেন।
উপরিউক্ত সাতটি সোপানে চলার পর নির্বাণলাভের জন্য সাধক নিজের চিত্তবৃত্তিকে নিরোধ করে সমাধির অবস্থায় আসতে যোগ্য হয়। এই সমাধি বা ধ্যানকে চার্বাক ব্যতীত অন্য সকল ভারতীয় দার্শনিক কোন-না-কোনভাবে স্বীকার করেছেন। তবে বৌদ্ধ ও যোগদর্শনে সমাধির উপর অধিক জোর দেয়া হয়েছে। বুদ্ধ সমাধির চারটি স্তর বা অবস্থা স্বীকার করেছেন। এগুলো হলো-
.
সমাধির প্রথম অবস্থায় সাধক চারটি আর্যসত্যের মনন ও চিন্তন করবে। এটি হচ্ছে তর্ক ও বিতর্ক অবস্থা। এ সময় সাধকের মনে অনেক প্রকার সংশয় উৎপন্ন হয়, সে স্বয়ং তাদের নিরাকরণ করবে।
প্রথম অবস্থার পর সকল সন্দেহ দূর হয়ে যায়। আর্যসত্যের প্রতি শ্রদ্ধাভাবনার বিকাশ হয়। ধ্যানের এই দ্বিতীয় অবস্থায় তর্ক ও বিতর্কের প্রয়োজন হয় না। এ স্তরে আনন্দ ও শান্তির অনুভূতি হয়। এবং এ অবস্থায় আনন্দ ও শান্তির অনুভূতির চেতনা বিদ্যমান থাকে।
আনন্দ ও শান্তির চেতনার প্রতি ঔদাসীন্য জন্মালে সমাধির তৃতীয় অবস্থা শুরু হয়। আনন্দ ও শান্তির চেতনা নির্বাণপ্রাপ্তিতে বাধক হয়। সেকারণে আনন্দ ও শান্তির চেতনাতে সাধক তটস্থ হতে প্রয়াসী হয়। এ স্তরে আনন্দ ও শান্তির চেতনা আর থাকে না। তবে শারীরিক স্বাচ্ছন্দ্যের জ্ঞান বিদ্যমান থাকে।
সমাধির চতুর্থ অবস্থায় দৈহিক বিশ্রাম ও মনের ভাব নষ্ট হয়। এ স্তরে সুখ, দুঃখ, আনন্দ, শান্তি- কোনকিছুরই অনুভূতি থাকে না। এ অবস্থা প্রাপ্ত হলে সাধককে ‘অর্হৎ’ বলা হয়। এটিই হচ্ছে নির্বাণ অবস্থা। এখানে জীব সুদ-দুঃখকে অতিক্রম করে যায়।
.
বুদ্ধ অষ্টাঙ্গিক মার্গকে প্রজ্ঞা, শীল ও সমাধি নামক তিনটি বিশেষ অঙ্গে বিভাজন করেছেন। সম্যক দৃষ্টি ও সম্যক সংকল্প প্রজ্ঞায় অন্তর্গত হয়। সম্যক বাক্, সম্যক কর্মান্ত, সম্যক আজীব ও সম্যক ব্যায়াম শীলে অন্তর্ভূক্ত। সম্যক স্মৃতি ও সম্যক সমাধি সমাধিতে অন্তর্গত হয়। আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গের আচরণ দ্বারা কেবল শান্তি, দিব্যজ্ঞান, সম্বোধি বা নির্বাণ লাভই হয় না, জীবনে সুখ, কীর্তি, যশও লাভ হয়। প্রজ্ঞার দ্বারা সর্বভবকে, শীল দ্বারা পাপকে এবং সমাধির দ্বারা কামধাতুকে অতিক্রম করা যায়। বৌদ্ধসাধনায় একে ত্রিশিক্ষাও বলা হয়।

0 comments:

Post a Comment