মহাকারুণিক বুদ্ধ বলেছেন মানব জন্ম অত্যন্ত
দুর্লভ। মহাপুণ্যের ফলে কর্ম প্রভাবে মনুষ্য জন্ম লাভ হয়। সর্বজীবের
শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ। কারণ মানুষের মধ্যে জ্ঞান বুদ্ধি ও বিবেক আছে
বলে মানুষকে শ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আর মানুষ যখন
বিবেকবর্জিত কোন কাজ করে তখন সচেতন মহলের মনে দুঃখ জাগ্রত হয়। মানুষের
অন্তরে লুকায়িত সুপ্ত বিবেককে সচেতন করার জন্য প্রয়োজন শিক্ষা। শিক্ষা
বর্তমান প্রতিযোগীতার বিশ্বে আপন অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রধান বাহন।
শিক্ষিত হলে মানুষের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত হবে এমন চিন্তুা করাও
দুষ্কর হয়ে পড়েছে। কারণ দেখা যাচ্ছে সমাজের অগণিত শিক্ষিত মানুষের বিবেক
বর্জিত কাজের জন্য সমাজের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সৃষ্টি হয় সমাজ তথা
দেশে নানা অশান্তি ও বিশৃংখলা। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য ধর্মীয় জ্ঞানের
প্রয়োজন। ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হলে মানুষের মধ্যে জ্ঞানচক্ষু উৎপন্ন হয়।
জ্ঞানচক্ষু উৎপন্ন হলে মানুষ নিজেকে পরিশুদ্ধভাবে পরিচালনার ক্ষমতা রাখবে,
যার জন্য আর সমাজে কোন রকম বিশৃংখলা সৃষ্টি হবে না এবং কাউকে কোনরকম
দুর্ভোগে পড়তে হবে না। এজন্য মানুষকে ধর্ম জ্ঞানে জ্ঞানী হতে হবে। সংসার
জীবনে সাধারণ শিক্ষার প্রয়োজন সর্বাগ্রে। সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে গিয়ে
ধর্মীয় শিক্ষার কথা মানুষ বেমালুম ভুলে যায়। তবে ধর্মীয় জ্ঞানে অত্যধিক
জ্ঞানী হতে না পারলেও ন্যূনতম ধর্মীয় জ্ঞান মানুষের থাকা প্রয়োজন নিজেকে
পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য। জ্ঞানার্জনের জন্য পাঠাভ্যাস
অত্যন্ত প্রয়োজন।
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে জ্ঞানী লোকদের পাঠাভ্যাস কি পরিমাণ ছিল। যে কোন বিষয় পাঠ করলে সেখান থেকে ভালো ও উপাদেয় বিষয়গুলো হৃদয়ঙ্গম করা যায় এবং তাতে আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়। মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টির জন্য লেখাপড়ার বিকল্প নেই। তবে একাডেমিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলে তাদের মানবিক মূল্যবোধ ততটুকু সম্প্রসারিত হয় না। কেননা, আমরা প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললেই দেখি খুন, নির্যাতন, ছিনতাই, অসহায় মানুষের উপর নিপীড়ন। এসব কাজ তারাই করে- যাদের মানবিক মূল্যবোধ লুপ্ত, তাড়নাহীন বিবেক। প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষায় নিজেকে সুশিক্ষিত করতে পারলে কোন পাপাচার মানুষকে ষ্পর্শ করতে পারে না।
নৈতিক চরিত্রের অধিকারী মানুষ দেশ ও জাতির গর্ব। সত্যকে সত্য বলা, অন্যায়কে অন্যায় বলা এবং ন্যায়-অন্যায় ও সত্য মিথ্যার ভেদাভেদ বুঝে নিজের মানবিক গুণাবলী দ্বারা সমাজকে আলোকিত করা প্রয়োজন। কারণ নৈতিক মূল্যবোধ ছাড়া মনুষ্যত্ব অর্জন করা সম্ভব নয়। কাজী মোতাহার হোসেন বলেছেন- ” জীবন বৃক্ষের শাখায় যে ফুল ফোটে, তাই মনুষ্যত্ব। বৃক্ষের গোড়ায় জল ঢালতে হবে এই ফুলের দিকে লক্ষ্য করে। শুধু শুধু মাটির রস টেনে গাছটা মোটা হয়ে উঠবে এই ভেবে কোন মালী গাছের গোড়ায় পানি ঢালে না। সমাজব্যবস্থাকেও ঠিক করতে হবে মানুষকে খাইয়ে দাইয়ে মোটা করে তুলবার জন্যে নয়, মানুষের অন্তরের মূল্যবোধ তথা সৌন্দর্য্য, প্রেম ও আনন্দ সম্বন্ধে আনন্দ জাগিয়ে তুলবার উদ্দেশ্যে।”
সুশৃংখল নিয়ম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং আদর্শ নীতিবোধ, জীবনচর্চা, নৈতিক মূল্যবোধের অন্তর্গত। নৈতিক মূল্যবোধহীন সমাজ বর্বর সমাজ। নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় অবনতি হলে সেই সমাজের সবকিছু ধ্বংসের প্রান্তে চলে যায়। যার পরিণতিতে হত্যা, সন্ত্রাস, অপহরণ, নির্যাতন, ছিনতাই, দুর্নীতি বৃদ্ধি পায়। যা এখন আমাদের সমাজে অহরহ ঘটছে। মানুষের নৈতিকতা, মূল্যবোধ কতটুকু নিুপর্যায়ে ধাবিত হয়েছে প্রতিদিন পত্রিকার পাতা উল্টালে এবং গণমাধ্যমের খবরের শিরোনাম দেখলেই বোঝা যায়। কেন নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় হচ্ছে? তার কারণ বিশ্বজুড়ে পুঁজিবাদের আধিপত্য যান্ত্রিক জীবনের গতিশীলতা বিস্তার, একান্নবর্তী পরিবার ভেঙ্গে যাওয়া, স্বার্থপরতা বৃদ্ধি, শিক্ষাব্যবস্থায় নীতিশিক্ষার অপ্রতুলতা, সমাজের উঁচুস্তরের মানুষদের অপরাধসমূহের প্রভাব পরবর্তী প্রজন্মকে ভয়াবহভাবে প্রভাব বিস্তার করছে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, বর্তমান সময়ে অনেক ছাত্ররা শিক্ষকদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে না। কোথাও দেখা হলে ন্যুনতম কুশল বিনিময় পর্যন্ত করে না। বয়োবৃদ্ধদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। তাঁদের সামনে বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য (পান, সিগারেট) পান করে। অসঙ্গতিপূর্ণ কথা বলে। গাড়ীতে উঠলে দেখা যায়, একজন বৃদ্ধ মানুষ বয়সের ভারে ন্যুজ, দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি নেই। অথচ উনাকে কেউ সিট ছেড়ে দিচ্ছে না। মা-বাবাকে মর্যাদা দেয় না।
নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে আরো জঘন্যতম ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন: মানুষ নামের অমানুষদের কাছে অসহায় হয়ে পড়ছে সমাজের নীতিবান মানুষেরা। মনুষ্যত্ববোধ, নৈতিক মূল্যবোধ এর অভাবে আজ এরকম পরিস্থিতির শিকার সকলেই। নাহলে কেন ধর্ষকদের হাত থেকে নিষ্পাপ শিশুরা পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না। কেন ধর্ষণ করে হত্যা, জনসমক্ষে এসিড সন্ত্রাস এর শিকার হতে হচ্ছে? এর প্রতিকার কিভাবে হবে?
এ রকম নৈতিকতার অভাব এখন আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ভাইরাসের মত ছড়িয়ে পড়ছে। কলুষিত হয়ে যাচ্ছে সমাজ ব্যবস্থা। প্রতিদিন একটু একটু করে কলুষিত হতে থাকলে শীঘ্রই অন্ধকারের অতলে হারিয়ে যাব। আমাদের এখুনি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধে সমাজের সর্বস্তরে ন্যায়-নীতি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ছাত্র সমাজ যাতে উন্নত এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত এবং আদর্শ মানুষ হিসেবে সচ্চরিত্রের অধিকারী হতে পারে সেইরকম শিক্ষাব্যবস্থা এবং নীতি শিক্ষার বিস্তার ঘটাতে হবে। একটি জাতির মধ্যে যখন শৃংখলাবোধ ও সুন্দর মূল্যবোধ গড়ে উঠে, তখন সেই জাতি মর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাড়ায়। আমাদের আছে অনেক মর্যাদাপূর্ণ ইতিহাস। আমরাও চেষ্টা করলে সততা ও নৈতিক মূল্যবোধকে কাজে লাগিয়ে মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারব। দায়িত্ব, নিষ্ঠা ও শৃংখলাবোধ থাকলে ব্যক্তিজীবন যেমন সুখকর হয়, তেমনি সমাজজীবনেও আসে সুখ ও সমৃদ্ধি।
বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিকরাষ্ট্র। গণতন্ত্র রাষ্ট্র পরিচালনার মূল ভিত্তি। এদেশের মানুষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, শান্তি আনয়নের জন্য দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে লক্ষ শহীদের রক্তে রাঙা লাল সবুজের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে। অনেক সংগ্রামের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতার মর্যাদা আমরা বারে বারে ক্ষুন্ন করছি। জনসন্মুখে হত্যা, অপহরণ, ছিনতাই, ইভটিজিং এবং এসিড সন্ত্রাসের মত ঘটনা ঘটলেও নিরাপত্তাহীনতায় ভূক্তভোগী জনগণ নির্বিকার থাকতে বাধ্য হচ্ছে পাছে তারাও একই পরিস্থিতির শিকার হয় সেই ভয়ে। কারণ একটাই, নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে মানুষের মনুষ্যত্ববোধ লুপ্ত হয়েছে, অসুস্থ মানসিকতার দাপটে খর্ব হয়ে যাচ্ছে সততার নৈতিকতার অগ্রগতি।
সৌজন্যে :
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে জ্ঞানী লোকদের পাঠাভ্যাস কি পরিমাণ ছিল। যে কোন বিষয় পাঠ করলে সেখান থেকে ভালো ও উপাদেয় বিষয়গুলো হৃদয়ঙ্গম করা যায় এবং তাতে আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়। মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টির জন্য লেখাপড়ার বিকল্প নেই। তবে একাডেমিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলে তাদের মানবিক মূল্যবোধ ততটুকু সম্প্রসারিত হয় না। কেননা, আমরা প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললেই দেখি খুন, নির্যাতন, ছিনতাই, অসহায় মানুষের উপর নিপীড়ন। এসব কাজ তারাই করে- যাদের মানবিক মূল্যবোধ লুপ্ত, তাড়নাহীন বিবেক। প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষায় নিজেকে সুশিক্ষিত করতে পারলে কোন পাপাচার মানুষকে ষ্পর্শ করতে পারে না।
নৈতিক চরিত্রের অধিকারী মানুষ দেশ ও জাতির গর্ব। সত্যকে সত্য বলা, অন্যায়কে অন্যায় বলা এবং ন্যায়-অন্যায় ও সত্য মিথ্যার ভেদাভেদ বুঝে নিজের মানবিক গুণাবলী দ্বারা সমাজকে আলোকিত করা প্রয়োজন। কারণ নৈতিক মূল্যবোধ ছাড়া মনুষ্যত্ব অর্জন করা সম্ভব নয়। কাজী মোতাহার হোসেন বলেছেন- ” জীবন বৃক্ষের শাখায় যে ফুল ফোটে, তাই মনুষ্যত্ব। বৃক্ষের গোড়ায় জল ঢালতে হবে এই ফুলের দিকে লক্ষ্য করে। শুধু শুধু মাটির রস টেনে গাছটা মোটা হয়ে উঠবে এই ভেবে কোন মালী গাছের গোড়ায় পানি ঢালে না। সমাজব্যবস্থাকেও ঠিক করতে হবে মানুষকে খাইয়ে দাইয়ে মোটা করে তুলবার জন্যে নয়, মানুষের অন্তরের মূল্যবোধ তথা সৌন্দর্য্য, প্রেম ও আনন্দ সম্বন্ধে আনন্দ জাগিয়ে তুলবার উদ্দেশ্যে।”
সুশৃংখল নিয়ম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং আদর্শ নীতিবোধ, জীবনচর্চা, নৈতিক মূল্যবোধের অন্তর্গত। নৈতিক মূল্যবোধহীন সমাজ বর্বর সমাজ। নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় অবনতি হলে সেই সমাজের সবকিছু ধ্বংসের প্রান্তে চলে যায়। যার পরিণতিতে হত্যা, সন্ত্রাস, অপহরণ, নির্যাতন, ছিনতাই, দুর্নীতি বৃদ্ধি পায়। যা এখন আমাদের সমাজে অহরহ ঘটছে। মানুষের নৈতিকতা, মূল্যবোধ কতটুকু নিুপর্যায়ে ধাবিত হয়েছে প্রতিদিন পত্রিকার পাতা উল্টালে এবং গণমাধ্যমের খবরের শিরোনাম দেখলেই বোঝা যায়। কেন নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় হচ্ছে? তার কারণ বিশ্বজুড়ে পুঁজিবাদের আধিপত্য যান্ত্রিক জীবনের গতিশীলতা বিস্তার, একান্নবর্তী পরিবার ভেঙ্গে যাওয়া, স্বার্থপরতা বৃদ্ধি, শিক্ষাব্যবস্থায় নীতিশিক্ষার অপ্রতুলতা, সমাজের উঁচুস্তরের মানুষদের অপরাধসমূহের প্রভাব পরবর্তী প্রজন্মকে ভয়াবহভাবে প্রভাব বিস্তার করছে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, বর্তমান সময়ে অনেক ছাত্ররা শিক্ষকদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে না। কোথাও দেখা হলে ন্যুনতম কুশল বিনিময় পর্যন্ত করে না। বয়োবৃদ্ধদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। তাঁদের সামনে বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য (পান, সিগারেট) পান করে। অসঙ্গতিপূর্ণ কথা বলে। গাড়ীতে উঠলে দেখা যায়, একজন বৃদ্ধ মানুষ বয়সের ভারে ন্যুজ, দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি নেই। অথচ উনাকে কেউ সিট ছেড়ে দিচ্ছে না। মা-বাবাকে মর্যাদা দেয় না।
নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে আরো জঘন্যতম ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন: মানুষ নামের অমানুষদের কাছে অসহায় হয়ে পড়ছে সমাজের নীতিবান মানুষেরা। মনুষ্যত্ববোধ, নৈতিক মূল্যবোধ এর অভাবে আজ এরকম পরিস্থিতির শিকার সকলেই। নাহলে কেন ধর্ষকদের হাত থেকে নিষ্পাপ শিশুরা পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না। কেন ধর্ষণ করে হত্যা, জনসমক্ষে এসিড সন্ত্রাস এর শিকার হতে হচ্ছে? এর প্রতিকার কিভাবে হবে?
এ রকম নৈতিকতার অভাব এখন আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ভাইরাসের মত ছড়িয়ে পড়ছে। কলুষিত হয়ে যাচ্ছে সমাজ ব্যবস্থা। প্রতিদিন একটু একটু করে কলুষিত হতে থাকলে শীঘ্রই অন্ধকারের অতলে হারিয়ে যাব। আমাদের এখুনি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধে সমাজের সর্বস্তরে ন্যায়-নীতি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ছাত্র সমাজ যাতে উন্নত এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত এবং আদর্শ মানুষ হিসেবে সচ্চরিত্রের অধিকারী হতে পারে সেইরকম শিক্ষাব্যবস্থা এবং নীতি শিক্ষার বিস্তার ঘটাতে হবে। একটি জাতির মধ্যে যখন শৃংখলাবোধ ও সুন্দর মূল্যবোধ গড়ে উঠে, তখন সেই জাতি মর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাড়ায়। আমাদের আছে অনেক মর্যাদাপূর্ণ ইতিহাস। আমরাও চেষ্টা করলে সততা ও নৈতিক মূল্যবোধকে কাজে লাগিয়ে মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারব। দায়িত্ব, নিষ্ঠা ও শৃংখলাবোধ থাকলে ব্যক্তিজীবন যেমন সুখকর হয়, তেমনি সমাজজীবনেও আসে সুখ ও সমৃদ্ধি।
বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিকরাষ্ট্র। গণতন্ত্র রাষ্ট্র পরিচালনার মূল ভিত্তি। এদেশের মানুষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, শান্তি আনয়নের জন্য দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে লক্ষ শহীদের রক্তে রাঙা লাল সবুজের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে। অনেক সংগ্রামের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতার মর্যাদা আমরা বারে বারে ক্ষুন্ন করছি। জনসন্মুখে হত্যা, অপহরণ, ছিনতাই, ইভটিজিং এবং এসিড সন্ত্রাসের মত ঘটনা ঘটলেও নিরাপত্তাহীনতায় ভূক্তভোগী জনগণ নির্বিকার থাকতে বাধ্য হচ্ছে পাছে তারাও একই পরিস্থিতির শিকার হয় সেই ভয়ে। কারণ একটাই, নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে মানুষের মনুষ্যত্ববোধ লুপ্ত হয়েছে, অসুস্থ মানসিকতার দাপটে খর্ব হয়ে যাচ্ছে সততার নৈতিকতার অগ্রগতি।
সৌজন্যে :
0 comments:
Post a Comment