কোন মানব উপসম্পদা
লাভে ভিক্ষু পর্যায়ে উন্নীত হলে তখন হতে তিনি পাতিমোক্খান্তর্গত ২২৭টি শীল
যথারীতি কঠোরভাবে পলনে সচেষ্ট হন। এ নীতিগুলির চারটি অপরাধ হচ্ছে
পারাজিকা। বিনয়পিটকস্থ সঙ্ঘ পরিচালনার ২২৭টি পাতিমোক্খশীলের মধ্যে বুদ্ধ
যে চারটি বিধান ভিক্ষু সঙ্ঘকে কঠোরভাবে পলন করতে নির্দেশ দিয়েছেন, সেই
আচরণগুলিকে পারাজিকা ধর্ম্মা বলা হয়। থের বা স্থবিরবাদী বিনয়পিটক অনুসারে
ব্রহ্মচর্য জীবন থেকে স্খলন বা পরাজয় অর্থে পারাজিকা শব্দটি ব্যবহার করা
হয়েছে।
পারাজিকা অপরাধ চারটি। এ অপরাধ চতুষ্টয়ে অপরাধী সর্বদাই সভ্য সমাজ কর্তৃক ঘৃণিত। এ চতুবিধ অপরাধ বা পারাজিকা চতুষ্টয় হলো,
ক) যৌনাচার,
খ) অদত্ত দ্রব্য গ্রহণ,
গ) নরহত্যা,
ঘ) অর্হত্ব বা অন্যান্য অলৌকিক ক্ষমতা প্রাপ্তির মিথ্যা দাবি।
মূলত এ চারটি কঠোর পারাজিকা বিধান বিমুক্তি বা মোক্ষ লাভের পক্ষে মহাঅন্তরায়কর। মানবের দৈহিক, বাচনিক ও মানসিক বুশুদ্ধিকরণই এ বিধান চারটির মূল লক্ষ্য। এ ত্রিবিধ বিশুদ্ধি অর্জিত না হলে মানবের মনোজগত বিমুক্তি বা মোক্ষলাভের পথে অগ্রসর হতে পারে না। জীবনচক্র বোধের মহান লক্ষ্যে মানবের ভিক্ষুত্ব গ্রহণ। এ মূল লক্ষ্যে পরিপূর্ণতা অর্জনার্থে প্রত্যেক ভিক্ষু থের বা স্থবিরবাদী এ চারটি পারাজিকা শিক্ষাপদ সর্বদা সযত্নে রক্ষায় তৎপর।
যদি কোন উপসম্পন্না ভিক্ষু এ পারাজিকা বিধান চারটির মধ্যে এক বা একাধিক লঙ্ঘন করে থাকেন এবং সে বিশয়ে সঙ্ঘের নিকট যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ ইত্যাদি থাকে তবে জরুরী সঙ্ঘ সম্মিলন আহ্বানের মাধ্যমে সেই অপরাধী ভিক্ষুকে সঙ্ঘ থেকে বহিস্কার করা হয় অথবা অবস্থাভেদে অর্থাৎ অপরাধের গুরুত্বানুসারে সঙ্ঘ অন্যান্য শাস্তিও প্রদান করতে পারেন। বিনয়বিধানানুসারে এ সব সঙ্ঘকর্মে সঙ্ঘই সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। সঙ্ঘের এ সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগকে গণতান্ত্রিক রীতির উৎস বলা যেথে পারে।
পারাজিকা অপরাধ চারটি। এ অপরাধ চতুষ্টয়ে অপরাধী সর্বদাই সভ্য সমাজ কর্তৃক ঘৃণিত। এ চতুবিধ অপরাধ বা পারাজিকা চতুষ্টয় হলো,
ক) যৌনাচার,
খ) অদত্ত দ্রব্য গ্রহণ,
গ) নরহত্যা,
ঘ) অর্হত্ব বা অন্যান্য অলৌকিক ক্ষমতা প্রাপ্তির মিথ্যা দাবি।
মূলত এ চারটি কঠোর পারাজিকা বিধান বিমুক্তি বা মোক্ষ লাভের পক্ষে মহাঅন্তরায়কর। মানবের দৈহিক, বাচনিক ও মানসিক বুশুদ্ধিকরণই এ বিধান চারটির মূল লক্ষ্য। এ ত্রিবিধ বিশুদ্ধি অর্জিত না হলে মানবের মনোজগত বিমুক্তি বা মোক্ষলাভের পথে অগ্রসর হতে পারে না। জীবনচক্র বোধের মহান লক্ষ্যে মানবের ভিক্ষুত্ব গ্রহণ। এ মূল লক্ষ্যে পরিপূর্ণতা অর্জনার্থে প্রত্যেক ভিক্ষু থের বা স্থবিরবাদী এ চারটি পারাজিকা শিক্ষাপদ সর্বদা সযত্নে রক্ষায় তৎপর।
যদি কোন উপসম্পন্না ভিক্ষু এ পারাজিকা বিধান চারটির মধ্যে এক বা একাধিক লঙ্ঘন করে থাকেন এবং সে বিশয়ে সঙ্ঘের নিকট যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ ইত্যাদি থাকে তবে জরুরী সঙ্ঘ সম্মিলন আহ্বানের মাধ্যমে সেই অপরাধী ভিক্ষুকে সঙ্ঘ থেকে বহিস্কার করা হয় অথবা অবস্থাভেদে অর্থাৎ অপরাধের গুরুত্বানুসারে সঙ্ঘ অন্যান্য শাস্তিও প্রদান করতে পারেন। বিনয়বিধানানুসারে এ সব সঙ্ঘকর্মে সঙ্ঘই সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। সঙ্ঘের এ সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগকে গণতান্ত্রিক রীতির উৎস বলা যেথে পারে।
0 comments:
Post a Comment