নেপালের লুম্বিনি এলাকায় গৌতম বুদ্ধের
জন্মস্থানে মাটি খুঁড়ে প্রাচীনতম বৌদ্ধ মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান
পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদেরা। কাঠের অবকাঠামোটি খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে
মায়াদেবী মন্দিরের সঙ্গে মাটিতে চাপা পড়েছিল।
বুদ্ধের জন্ম স্থান বলে খ্যাত নেপালের লুম্বিনীস্থ মায়াদেবী বিহারের অভ্যন্তরে টানা তিন দিন খনন কাজ শেষে মহামানব বুদ্ধের প্রকৃত জন্মস্থানের সন্ধান লাভ করে একটি ‘বৃক্ষ শাখা ধরা অবস্থায়’ ২৬০০ বৎসর পূর্বে বুদ্ধের জন্মলাভের সত্যতা স্বীকার করছেন প্রত্নতত্ববিদরা। এর মধ্য দিয়ে বুদ্ধের জন্মতারিখ নিয়ে বিতর্কের অবসান হতে পারে।ডুরহাম ইউনিভার্সিটির প্রত্নতত্ববিদ রবিন কানিংহাম এর মতে, কিছু পুঁথি ও মুখে মুখে প্রচারিত তথ্যসূত্র ছাড়া খুব কম মানুষই বুদ্ধের জীবনী সম্পর্কে জানে। আমরা ভাবলাম, প্রত্নতত্ব কেন বুদ্ধের জন্ম সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য চেষ্টা করছে না ? এটিই প্রথম, আমাদের কাছে লুম্বিনীর একটি প্রত্নতাত্বিক ক্রমধারা আছে যাতে ৬শ খ্রিস্টপূর্ব বছরের স্থাপনা দেখানো যায়’।
উল্লেখ্য, যখন প্রত্নতত্ববিদরা খনন করল, তাঁরা একটি ঘেরা সমৃদ্ধ সুবিন্যাস্ত নিদৃষ্ট স্থান দেখতে পেল, এবং ঐ ঘেরার মধ্যেই তাঁরা বৃক্ষ মূলটি পায়।যা ছিল বৌদ্ধ স্তুপের ঐতিহ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ঃ একটি জীবন্ত গাছ যা কাঠের পাটাতন দিয়ে ঘেরা ছিল।ওই মন্দিরের ভেতরে একটি গাছ ছিল বলে মনে হয়েছে। বুদ্ধের জন্ম নিয়ে যে কাহিনি প্রচলিত আছে, তার সঙ্গে এর সম্পর্ক রয়েছে। বুদ্ধের মা যখন বুদ্ধকে জন্ম দেন, তখন তিনি একটি গাছের ডাল ধরে রেখেছিলেন।লুম্বিনি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান। তিনিই পরে বুদ্ধ হন। প্রতিবছর হাজার হাজার বৌদ্ধ তীর্থযাত্রী লুম্বিনিতে যান।
এখন পর্যন্ত লুম্বিনিতে সবচেয়ে পুরোনো যে বৌদ্ধ অবকাঠামো পাওয়া গেছে, তা খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকের আগের নয়। সময়টা ছিল সম্রাট অশোকের শাসনামল। আন্তর্জাতিক একটি প্রত্নতাত্ত্বিক দল লুম্বিনিতে মন্দিরের একেবারে কেন্দ্রস্থলে খননকাজ চালায়। দলটির সহপ্রধান যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রবিন কানিংহাম বলেন, ‘এই প্রথম আমরা লুম্বিনিতে এমন একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পেয়েছি, যেখানে খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের একটি অবকাঠামো রয়েছে। বিশ্বে বুদ্ধের এটাই সবচেয়ে প্রাচীন নিদর্শন।’ বিবিসি।
ইংল্যান্ডের ডুরহাম ইউনিভার্সিটির প্রত্নতত্ববিদ রবিন কানিংহাম এর সাথে এই খনন কাজে সম্পৃক্ত ছিল নেপালের পশুপতি এরিয়া ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট এর কোশ প্রসাদ আচার্য। এছাড়া ন্যাশনাল জিওগ্রাফী চ্যানেল এর একটি দল সার্বক্ষণিক এখানে চিত্র ধারণ করেছে যা আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে প্রচার করা হবে।
সৌজন্যেঃ প্রথম আলো
বুদ্ধের জন্ম স্থান বলে খ্যাত নেপালের লুম্বিনীস্থ মায়াদেবী বিহারের অভ্যন্তরে টানা তিন দিন খনন কাজ শেষে মহামানব বুদ্ধের প্রকৃত জন্মস্থানের সন্ধান লাভ করে একটি ‘বৃক্ষ শাখা ধরা অবস্থায়’ ২৬০০ বৎসর পূর্বে বুদ্ধের জন্মলাভের সত্যতা স্বীকার করছেন প্রত্নতত্ববিদরা। এর মধ্য দিয়ে বুদ্ধের জন্মতারিখ নিয়ে বিতর্কের অবসান হতে পারে।ডুরহাম ইউনিভার্সিটির প্রত্নতত্ববিদ রবিন কানিংহাম এর মতে, কিছু পুঁথি ও মুখে মুখে প্রচারিত তথ্যসূত্র ছাড়া খুব কম মানুষই বুদ্ধের জীবনী সম্পর্কে জানে। আমরা ভাবলাম, প্রত্নতত্ব কেন বুদ্ধের জন্ম সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য চেষ্টা করছে না ? এটিই প্রথম, আমাদের কাছে লুম্বিনীর একটি প্রত্নতাত্বিক ক্রমধারা আছে যাতে ৬শ খ্রিস্টপূর্ব বছরের স্থাপনা দেখানো যায়’।
উল্লেখ্য, যখন প্রত্নতত্ববিদরা খনন করল, তাঁরা একটি ঘেরা সমৃদ্ধ সুবিন্যাস্ত নিদৃষ্ট স্থান দেখতে পেল, এবং ঐ ঘেরার মধ্যেই তাঁরা বৃক্ষ মূলটি পায়।যা ছিল বৌদ্ধ স্তুপের ঐতিহ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ঃ একটি জীবন্ত গাছ যা কাঠের পাটাতন দিয়ে ঘেরা ছিল।ওই মন্দিরের ভেতরে একটি গাছ ছিল বলে মনে হয়েছে। বুদ্ধের জন্ম নিয়ে যে কাহিনি প্রচলিত আছে, তার সঙ্গে এর সম্পর্ক রয়েছে। বুদ্ধের মা যখন বুদ্ধকে জন্ম দেন, তখন তিনি একটি গাছের ডাল ধরে রেখেছিলেন।লুম্বিনি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান। তিনিই পরে বুদ্ধ হন। প্রতিবছর হাজার হাজার বৌদ্ধ তীর্থযাত্রী লুম্বিনিতে যান।
এখন পর্যন্ত লুম্বিনিতে সবচেয়ে পুরোনো যে বৌদ্ধ অবকাঠামো পাওয়া গেছে, তা খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকের আগের নয়। সময়টা ছিল সম্রাট অশোকের শাসনামল। আন্তর্জাতিক একটি প্রত্নতাত্ত্বিক দল লুম্বিনিতে মন্দিরের একেবারে কেন্দ্রস্থলে খননকাজ চালায়। দলটির সহপ্রধান যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রবিন কানিংহাম বলেন, ‘এই প্রথম আমরা লুম্বিনিতে এমন একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পেয়েছি, যেখানে খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের একটি অবকাঠামো রয়েছে। বিশ্বে বুদ্ধের এটাই সবচেয়ে প্রাচীন নিদর্শন।’ বিবিসি।
ইংল্যান্ডের ডুরহাম ইউনিভার্সিটির প্রত্নতত্ববিদ রবিন কানিংহাম এর সাথে এই খনন কাজে সম্পৃক্ত ছিল নেপালের পশুপতি এরিয়া ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট এর কোশ প্রসাদ আচার্য। এছাড়া ন্যাশনাল জিওগ্রাফী চ্যানেল এর একটি দল সার্বক্ষণিক এখানে চিত্র ধারণ করেছে যা আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে প্রচার করা হবে।
সৌজন্যেঃ প্রথম আলো
0 comments:
Post a Comment