বুদ্ধের ব্যবহৃত ভিক্ষাপাত্রটি ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করতে কাবুলে যাচ্ছেন ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ দল।
ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ দলের (এএসআই) দুইজন বিশেষজ্ঞকে বুদ্ধের
ব্যবহৃত ভিক্ষাপাত্রটি পরীক্ষা এবং ভারতে এটি ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু
করার জন্য কাবুলে পাঠানো হচ্ছে। খবর- দ্যা টাইমস্ অব ইণ্ডিয়া।
গত বছরের আগষ্টে, ভারতের এক লোক সভায় বৈশালী হতে নির্বাচিত সাংসদ আরজেডি রঘুবংশ প্রসাদ সিং বলেন, বর্তমানে ভারতের সাথে আফগানিস্তানের সুসর্ম্পক থাকায় সদিচ্ছা থাকলে বুদ্ধের এই পবিত্র ভিক্ষাপাত্রটি বৈশালীতে ফিরিয়ে আনা যায় এমনটা জানিয়ে তিনি বুদ্ধের ভিক্ষাপাত্রটি আফগানিস্তানের যাদুঘর থেকে ভারতের বৈশালীতে তার আদি জায়গায় ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব করেন।
সেই প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে, গতকাল শনিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৪, এক জরুরী
সভায় সাংসদ আরজেডি রঘুবংশ প্রসাদ সিংয়ের সভাপতিত্বে, মহাপরিচালক এএসআই
প্রবীণ শ্রীবাস্তব, এডিজি বি. আর. মানি, পুরার্কীতি বিষয়ক মহাপরিচালক আর.
এস. ফনিয়া এবং পূর্ব প্রদেশের পরিচালক ফনী কান্ত মিশরা প্রমুখ বিশিষ্ট
ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপের একটি দলকে কাবুলে
গিয়ে বুদ্ধের ব্যবহৃত ভিক্ষাপাত্রটি পরীক্ষা এবং ভারতে এটি ফিরিয়ে আনার
প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য প্রস্তাব গৃহীত হয়।
এএসআই দিল্লি সূত্রে জানা যায়, এ কাজের জন্য মিশরা এবং জি এস খাজা, ডিরেক্টর অব এরাবিক ও ফার্সি উৎকীর্ণ লিপিবিদ্বয়কে মনোনীত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের আগষ্টে, বিবিসিকে দেয়া বক্তব্যে সাংসদ আরজেডি রঘুবংশ প্রসাদ সিং বলেন, কাবুল যাদুঘরের উচিত ঐ ভিক্ষাপাত্র ভারতকে ফিরিয়ে দেয়া, কারণ গৌতম বুদ্ধ নিজেই সেটি বৈশালিবাসীকে দান করে গিয়েছিলেন। বৈশালীবাসী যখন বুদ্ধকে কিছুতেই বিদায় দিতে চাচ্ছিল না তখন মহাপরিনির্বাণের আগে এই ভিক্ষাপাত্রটি বৈশালীবাসীকে প্রদান করেন বলে মন্ত্রী দাবী করেন। ঐ ভিক্ষাপাত্র আফগানিস্তানে নিরাপদ নয়, এমন আশংকাও ব্যক্ত করেছেন তিনি।
কারন হিসাবে তিনি বলেন, আফগানিস্থানে অতীতে তালেবান কর্তৃক বামিয়ানের বুদ্ধমূর্তি সহ অনেক স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। এটিও তারা ধ্বংস করতে পারে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন।
শত শত বছর এই ভিক্ষা পাত্রটি বৈশালীতে পূজিত হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে কুশান রাজা কণিষ্কের হাত ধরে তা পুরুষপুর বা বর্তমানের পেশোয়ার এরপর কান্দাহার এবং সর্বশেষ এখন কাবুলের জাতীয় যাদুঘরে আছে।
ছবি এবং তথ্যসূত্র:http://nirvanapeace.com
গত বছরের আগষ্টে, ভারতের এক লোক সভায় বৈশালী হতে নির্বাচিত সাংসদ আরজেডি রঘুবংশ প্রসাদ সিং বলেন, বর্তমানে ভারতের সাথে আফগানিস্তানের সুসর্ম্পক থাকায় সদিচ্ছা থাকলে বুদ্ধের এই পবিত্র ভিক্ষাপাত্রটি বৈশালীতে ফিরিয়ে আনা যায় এমনটা জানিয়ে তিনি বুদ্ধের ভিক্ষাপাত্রটি আফগানিস্তানের যাদুঘর থেকে ভারতের বৈশালীতে তার আদি জায়গায় ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব করেন।

এএসআই দিল্লি সূত্রে জানা যায়, এ কাজের জন্য মিশরা এবং জি এস খাজা, ডিরেক্টর অব এরাবিক ও ফার্সি উৎকীর্ণ লিপিবিদ্বয়কে মনোনীত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের আগষ্টে, বিবিসিকে দেয়া বক্তব্যে সাংসদ আরজেডি রঘুবংশ প্রসাদ সিং বলেন, কাবুল যাদুঘরের উচিত ঐ ভিক্ষাপাত্র ভারতকে ফিরিয়ে দেয়া, কারণ গৌতম বুদ্ধ নিজেই সেটি বৈশালিবাসীকে দান করে গিয়েছিলেন। বৈশালীবাসী যখন বুদ্ধকে কিছুতেই বিদায় দিতে চাচ্ছিল না তখন মহাপরিনির্বাণের আগে এই ভিক্ষাপাত্রটি বৈশালীবাসীকে প্রদান করেন বলে মন্ত্রী দাবী করেন। ঐ ভিক্ষাপাত্র আফগানিস্তানে নিরাপদ নয়, এমন আশংকাও ব্যক্ত করেছেন তিনি।
কারন হিসাবে তিনি বলেন, আফগানিস্থানে অতীতে তালেবান কর্তৃক বামিয়ানের বুদ্ধমূর্তি সহ অনেক স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। এটিও তারা ধ্বংস করতে পারে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন।
শত শত বছর এই ভিক্ষা পাত্রটি বৈশালীতে পূজিত হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে কুশান রাজা কণিষ্কের হাত ধরে তা পুরুষপুর বা বর্তমানের পেশোয়ার এরপর কান্দাহার এবং সর্বশেষ এখন কাবুলের জাতীয় যাদুঘরে আছে।
ছবি এবং তথ্যসূত্র:http://nirvanapeace.com
0 comments:
Post a Comment