
ওদিকে রমনী বিহারে প্রবেশ করলেও যক্ষিনী বিহারে প্রবেশ না করে বাইরে রমনীর ফিরে আসার অপেক্ষা করতে লাগল। কিছু সময় পরে তথাগতর আদেশে যক্ষিনীকে জেতবন আরামের ভিতরে বুদ্ধ সমীপে এনে উপস্থিত করা হল। তখন তথাগত রমনী ও যক্ষিনী উভয়কেই বহু তিরস্কার করে বললেন যে তাদের শত্রুতা ও প্রতিশোধ স্পৃহা কেবল এই জন্মেরই নয় অপিতু পুর্ববর্তী বহু জন্ম ধরে তারা পরস্পর পরস্পরের সাথে শত্রুতা ও প্রতিশোধের সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।
তারপর তথাগত এরকম জানান যে পূর্ববর্তী কোন এক জন্মে তারা পরস্পরের সপত্নী ছিলেন। এক গহপতি প্রথম পত্নীর বন্ধ্যাত্বের দরুন দ্বিতীয় বিবাহ করেছিলেন। দ্বিতীয়ার যখন গর্ভসঞ্চার হল তখন ঈর্ষার বশবর্তী হয়ে প্রথমা এমন ব্যবস্থা করল যাতে তার গর্ভপাত হয়ে যায়। ফলস্বরূপ গর্ভপাত তো হলই, তার সাথে সাথে দ্বিতীয়ারও মৃত্যু হল, সেই থেকে এই চিরস্থায়ী বৈরীর সুত্রপাত হয়। পরবর্তী জন্মে প্রতিশোধ গ্রহনের উদ্দেশ্যে তার দুজনে যথাক্রমে কুক্কুট এবং মার্জারী রূপে জন্ম নেয় এবং কুক্কুটের শাবক হত্যা করে মার্জারী প্রতিশোধ পুরণ করে। এরপর আবার তাদের দুজনের জন্ম হয় চিত্র-ব্যাঘ্রী এবং মৃগী রূপে এবং বর্তমানে তাদের একজনের জন্ম হয়েছে শ্রাবস্তীর এক গৃহপতি কন্যারূপে এবং অন্যজনের জন্ম হয়েছে কালী যক্ষিনী রূপে। চিরশত্রুতার সুত্র ধরে তারা বারবার পরস্পরের প্রতি প্রতিশোধ নিয়ে চলেছে। কিন্তু শত্রুতা ও প্রতিশোধ স্পৃহা দিয়ে এই চিরশত্রুতার প্রশমন সম্ভব নয়। একমাত্র অবৈর অর্থাৎ মৈত্রী দ্বারাই এই চির ত্রুতা প্রশমিত হবে।
তখন তথাগত তাদের উদ্দেশ্যে নিম্নোক্ত পংক্তিটি দেশনা করেন...
0 comments:
Post a Comment